Lakshmir Bhandar New Update: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক সভায় বাংলার মহিলাদের জন্য সুখবরটি নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুশির হাসি ফুটবে বাংলার ৯ লাখ মহিলার, আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা।
Lakshmir Bhandar New Update
এই দিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরের সভায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে বড় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন সবকিছু রেডি আছে খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নতুন প্রাপকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করবে। সাথেই বলেন বাংলার আবাস যোজনার কাজও শীঘ্রই চালু হবে বলে আশ্বাস দেন। দিদি বলেন ট্রেজারি তে কিছু টাকা আসলেই প্রকল্পের কাজগুলি শুরু হয়ে যাবে।
ইন্ডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার পর বিষয়টি ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে গেল যে সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজন করা দুয়ারে সরকার শিবিরে বাংলার যে মহিলারা নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁরা খুব শীঘ্রই ৫০০ বা ১০০০ টাকা করে পেতে শুরু করবেন।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প মাত্র ২ বছরের মধ্যেই ২ কোটি উপভোক্তার সংখ্যা পার করে যাবে, এমনটাই রাজ্য সরকারের একটি সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে। নতুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আবেদনকারীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু হলেই এই মাইল ফলক ছুঁয়ে যাবে। সাথেই বার্ধক্য ভাতা প্রাপকরা অনেক উপকৃত হবেন, এই বছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম করে দিয়েছেন, ৬০ বছর বয়স হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকরা স্বয়ংক্রিয় ভাবেই বার্ধক্য ভাতার তালিকায় নাম উঠে যাবে।
তবে বাংলার মহিলাদের কোনো চিন্তার ব্যাপার নেই ৬০ বছর বয়স হলেও রাজ্য সরকার থেকে যে অনুদান পাচ্ছেন, সেই অনুদানই পাবেন শুধু মাত্র লক্ষীর ভান্ডার তালিকা থেকে নামগুলি বার্ধক্য ভাতার তালিকায় চলে যাবে। বার্ধক্য ভাতায় মাসিক অনুদান ১০০০ টাকা করে পাবেন, এর ফলে বাংলার মহিলারা সব দিকথেকেই লাভবান হবেন।
দিদির এই ঘোষণার ফলে রাজ্যের মহিলাদের মুখে খুশির হাসি ফুটেছে, তবে যারা সেপ্টেম্বর মাসে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, তারা ভেবেছিলেন দুর্গাপূজার আগে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে কিন্তু সেই আসা পূরণ হয়নি। অথচ নভেম্বর মাস শেষের দিকে এখনও পর্যন্ত টাকা না ঢোকায় আবেদন কারীরা একটু ক্ষিপ্ত।