আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগত জানাই আগত বন্ধুদের। আজকে আমরা আপনাদের বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করব। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৭ই জুলাই ২০১৯ সালে প্রথম চালু হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ দ্বারা পরিচালিত একটি আন্তঃনগর ট্রেন। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি একটি বিলাসবহুল এবং আধুনিক ট্রেন যা এই রুটে একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১২টি কোচ যুক্ত একটি বিলাসবহুল ট্রেন, এই ট্রেনটির নামকরণের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া শেখ হাসিনার কাছে তিনটি নাম পাঠানো হয়। বন্দর এক্সপ্রেস, ইছামতি এক্সপ্রেস এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস তার মধ্যে থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস নামটি বাছাই করা হয়।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে ০৬ দিন বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। প্রত্যেক সপ্তাহের বুধবার দিন ট্রেনটি বন্ধ থাকে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়া। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী আমরা নিম্নে একটি সুন্দর তালিকার মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩
এতক্ষণ আপনারা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সম্বন্ধে অনেক কিছু জানলেন এবার আপনাদের জানিয়ে দেবো বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী। নিচে ট্রেনটির সময়সূচী গুলি তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২ তম সময়সূচী অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে যেটি ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী শহর ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত্রি ১১:১৫ মিনিটে বেনাপোল স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং সকাল ০৮:২০ মিনিটে তার গন্তব্য বেনাপোলে স্টেশনে পৌঁছায়। ঠিক একইভাবে বেনাপোল স্টেশন থেকে বেলা ১২:৪৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং রাত্রি ০৮:৪০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছায়। প্রত্যেক বুধবার ঢাকা টু বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ থাকে। [সময়সূচীর অফিসিয়াল উৎস]
ঢাকা (কমলাপুর) থেকে যাত্রা শুরু
স্টেশন নাম | ছাড়ার সময় |
ঢাকা (কমলাপুর) | রাত্রি ১১:১৫ মিনিট (যাত্রা শুরু) |
বিমান বন্দর | রাত্রি ১১:৪৮ |
ঈশ্বরদী | ভোর ০৪:২৫ |
চুয়াডাঙ্গা | ভোর ০৫:৩৮ |
দর্শনা | সকাল ০৫:৫৯ |
যশোর | সকাল ০৭:৪৮ |
ঝিকরগাছা | সকাল ০৭:৪৮ |
বেনাপোল | সকাল ০৮:২০ |
বেনাপোল থেকে যাত্রা শুরু
স্টেশন নাম | ছাড়ার সময় |
বেনাপোল | দুপুর ১২:৪৫ (যাত্রা শুরু) |
ঝিকরগাছা | দুপুর ০১:১৬ |
যশোর | দুপুর ০১:৫৫ |
দর্শনা | বিকাল ০৩:০০ |
চুয়াডাঙ্গা | বিকাল ০৩:২০ |
ঈশ্বরদী | বিকাল ০৪:৩৫ |
ঢাকা (কমলাপুর) | রাত্রি ০৮:৪০ |
অন্যান ট্রেনের সময়সূচী জানতে এখানে ক্লিক করুন
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা
উপরে দেয়া তথ্য থেকে আপনারা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে পারলেন এবার আপনারা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া কত তা জানতে পারবেন। যেহেতু ট্রেনে চাপতে গেলে আমাদের টিকিট কাটতে হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ট্রেনের ভাড়া সম্বন্ধে জানা জরুরী। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটির অনেকগুলি শ্রেণীবিন্যাস আছে যার কারণে বিভিন্ন শ্রেণীর ভাড়াগুলো বিভিন্ন রকমের, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া কত তা আপনাদের সুবিধার জন্য শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী তার একটি তালিকা আপনাদের সামনে দেয়া হলো ভালো করে দেখে নিন।
চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩
স্টেশন নাম | শোভন চেয়ার | এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) | এসি বার্থ |
ঢাকা-বেনাপোল | ৪৮৫ টাকা | ৯৩২ টাকা | ১৭২৪ টাকা |
ঢাকা – চুয়াডাঙ্গা | ৩৯০ টাকা | ৭৪৮ টাকা | ১৩৯০ টাকা |
ঢাকা – যশোর | ৪৫৫ টাকা | ৮৭৪ টাকা | নেই |
স্টেশন নাম | শোভন চেয়ার | এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) | এসি বার্থ |
বেনাপোল -ঢাকা | ৫৩৪ টাকা | ৯৩২ টাকা | ১১১৬ টাকা |
বেনাপোল – চুয়াডাঙ্গা | ১৩৫ টাকা | ২৫৯ টাকা | ৫৪১ টাকা |
যশোর – ঢাকা | ৪৫৫ টাকা | ৮৭৪ টাকা | ১০৪৭ টাকা |
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন
আমরা সকলেই ট্রেনে যাতায়াত করেছি ট্রেন হচ্ছে সবথেকে সস্তা এবং আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য অসাধারণ বিকল্প। তাই বেশিরভাগ মানুষ রোজগার কাজের জন্য অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ট্রেনের যাত্রা করে। আমরা অনেকেই ট্রেনে চাপার আগে তার বিরতি স্টেশন গুলি জানতে চাই কারণ অনেক সময় আমাদের বিরতি স্টেশন গুলিতে কিছু দরকার থেকে থাকে। ঢাকা টু বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি তার যাত্রাপথে ১০ টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি নেয়। আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য এই ১০ টি স্টেশনের নাম একটি তালিকা বদ্ধ করেছি। তালিকাটি আমরা নিম্নে প্রদান করেছি।
- ঝিকরগাছা
- যশোর জংশন
- মোবারকগঞ্জ
- কোটচাঁদপুর
- দর্শনা হল্ট
- চুয়াডাঙ্গা
- পোড়াদহ জংশন
- ভেড়ামারা
- ঈশ্বরদী জংশন
- ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সুবিধা গুলি
- বেনাপোল এক্সপ্রেস একটি আধুনিক এবং বিলাসবহুল ট্রেন। এই ট্রেনটিতে চীন থেকে আমদানি করা অত্যাধুনিক এবং শক্ত সামর্থ্য ব্রডগেজ কোচ দেওয়া হয়েছে।
- প্রত্যেক কোচ গুলিতে দেয়া রয়েছে অত্যাধুনিক বায়ো টয়লেট।
- কোচ গুলিতে আরামদায়ক সিটের ব্যবস্থা হয়েছে।
- প্রত্যেক কোচ গুলিতে সিসি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে।
- ট্রেনটিতে খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে।
- ট্রেনটির মধ্যে স্লাইডিং ডোর এবং দুপাশে গার্ড ব্রেক রয়েছে যা ট্রেনটিকে বিপদ থেকে সুরক্ষিত রাখে।
ট্রেনে চাপার নিয়ম
ট্রেনে চাপার আগে অবশ্যই আমাদের ট্রেনের নিয়ম কানুন গুলি জেনে রাখতে হয়। সেই নিয়মগুলি কি তা জেনে নিন..
- প্রথমে আপনাদের বলে রাখি টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
- আপনার ট্রেনের টিকিট টি নিজের কাছে যত্ন সহকারে রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত স্টেশন থেকে বেরিয়ে না আসছেন।
- আপনার মালপত্র আপনার নিজের দায়িত্বেই রাখুন।
- অযথা ট্রেনের স্টপচেইন টানবেন না।
- আপনার পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য ব্যক্তির দেওয়া কোনো খাবার খাবেন না।
- ট্রেন থেকে অযথা উঠানামা করবেন না।
- ট্রেনের মধ্যে জ্বলনশীল বস্তু নিয়ে উঠবেন না।
শেষ কথা
আজকের প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা আপনাদের বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া সম্বন্ধে একটি বিস্তারিত তথ্য আপনাদের কাছে উপস্থাপন করেছি। যাতে করে আপনাদের যাত্রা পথে কোনো রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।
আপনি যদি ট্রেনটি করে উৎসবের মরশুমে ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদের উপদেশ দেব আগে থেকে অনলাইনে টিকিট বুকিং করে রাখবেন। আর ভ্রমণের জন্য আন্তঃনগর ট্রেন সবথেকে উপযুক্ত, আশা করি আজকের আমাদের পোস্টটি আপনাদের কাছে উপযুক্ত তথ্য দিতে পেরেছে। আপনি আমাদের প্রবন্ধটিকে আপনার বন্ধু-বান্ধব অথবা প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন, যারা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে চান। আমরা আপনার যাত্রা শুভ হোক এটাই কামনা করি।