বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের সাথে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩ এবং নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া নিয়ে আপনাদের বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেব। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় দ্রুততম এবং বিলাসবহুল ট্রেন গুলির মধ্যে অন্যতম একটি ট্রেন। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী শহর ঢাকা থেকে নীলফামারী জেলায় অবস্থিত চিলাহাটি পর্যন্ত নিয়মিত যাতায়াত করে। কয়েক বছর আগে এই ট্রেনটি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করত পরে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে দ্বারা ঢাকা কমলাপুর ও চিলাহাটি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত একটি বিলাসবহুল ট্রেন। এই ট্রেনটি প্রথম ২০০৭ সালে ১ লা ডিসেম্বর তার প্রথম যাত্রাপথ শুরু করে। ঢাকা থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৫২৬ কিলোমিটার অর্থাৎ ৩২৭ মাইল। এতটা যাত্রা পথ অতিক্রম করতে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময় লাগে ০৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিট। এবং এই ট্রেনটির মধ্যে অনেক আধুনিক সুবিধা আছে যেগুলি আপনারা জানতে পারবেন এই প্রবন্ধের মাধ্যমে। তার আগে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩ এর তালিকাটি অবশ্যই আপনারা ভালোভাবে দেখে নেবেন।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩
সকলের কাছে জনপ্রিয় এই নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী শহর ঢাকা থেকে সকাল ০৬:৪০ মিনিটে ট্রেনটি তার যাত্রা শুরু করে এবং বিকেল ০৪:০০ মিনিটে চিলাহাটি রেল স্টেশনে পৌঁছায়। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে নীল সাগর এক্সপ্রেস এর সময় লাগে প্রায় ০৯ ঘন্টা ২০ মিনিট।
একইভাবে নীলফামারী জেলার চিলাহাটি স্টেশন থেকে রাত্রি ০৮:০০ মিনিটে নীলসাগর তার যাত্রা শুরু করে এবং ভোর ০৫:৩০ মিনিটে তার গন্তব্য স্টেশন ঢাকায় পৌঁছায়। এই যাত্রাপথ অতিক্রম করতে সময় লাগে ৯ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
স্টেশন নাম | যাত্রা শুরু | যাত্রা শেষ | ছুটির দিন |
ঢাক থেকে চিলাহাটি | সকাল০৬:৪০ | বিকেল ০৪:০০ | নেই |
চিলাহাটি থেকে ঢাকা | রাত্রি ০৮:০০ | ভোর ০৫:৩০ | নেই |
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা
আমরা সকলেই কমবেশি ট্রেনে চাপি স্বল্প খরচের মধ্যে সবথেকে সুন্দর এবং আরামদায়ক ভ্রমণ মাধ্যম হিসেবে আমরা ট্রেনকেই বেছে নিই। যেকোনো ট্রেনে চাপার আগে অবশ্যই আমাদের সেই ট্রেনের ভাড়া সম্পর্কে তথ্য জানা থাকা দরকার, তাই আমরা আপনাদের জন্য নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া কত তা নিয়ে একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করেছি। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির মধ্যে অনেকগুলি শ্রেণীবিন্যাস আছে, যার কারণে বিভিন্ন শ্রেণীর ভাড়া গুলি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যাতে করে যার যেই রকম সামর্থ্য সে সেই রকম শ্রেণীর টিকিট বুকিং করতে পারে। আসুন নীলসাগর ট্রেনের ভাড়া তালিকাটি দেখে নিন।
আসন বিভাগ | টিকিট মূল্য |
শোভন | ৩৬০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৪৩৫ টাকা |
প্রথম সিট | ৫৭৫ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৮৬৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৭২০ টাকা |
এসি বার্থ | ১২৯৫ টাকা |
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন
আমাদের মধ্যে সকলেই যে কোনো কারণে ট্রেনে চেপেছি, আমাদের সকলের জানা আছে যে কোনো ট্রেন তার যাত্রাপথে কিছু স্টেশনে বিরতি নেয় কারণ অনেক মানুষ আছেন যারা অন্যান্য স্টেশনগুলি থেকে ট্রেনে ওঠানামা করেন। এছাড়া অনেক সময় ট্রেনের ইঞ্জিন চেঞ্জ করতে অথবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কারণে ট্রেনগুলি হল্ট করে আসুন আমরা দেখে নেব নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশনগুলি।
বিরতি স্টেশন নাম | ঢাকা থেকে (৭৬৫) | চিলাহাটি থেকে (৭৬৬) |
বিমান বন্দর | ০৭:০৭ | ০৪:৫৩ |
জয়দেবপুর | ০৭:৩৩ | ০৪:২৭ |
বঙ্গবন্ধু সেতু | ০৯:০০ | ০৩:১০ |
মুলাডুলি | ১০:৩৯ | ০১:৪৫ |
নাটোর | ১১:১৬ | ০০:৩৩ |
আহসানগঞ্জ | ১১:৪০ | ২৩:৪৫ |
সান্তাহার | ১২:১৫ | ২৩:৩০ |
আক্কেলপুর | ১২:৪০ | ২৩:০১ |
জয়পুরহাট | ১৩:০৪ | ২২:৪৫ |
বিরামপুর | ১৩:৩৬ | ২২:১৪ |
ফুলবাড়ি | ১৫:৫০ | ২২:০০ |
পার্বতীপুর | ১৪:১৫ | ২১:৪০ |
সৈয়দপুর | ১৪:৪২ | ২১:০৩ |
নীলফামারী | ১৫:০৫ | ২০:৩৯ |
ডোমার | ১৫:২৪ | ২০:২১ |
ট্রেনে চাপার নিয়ম
ট্রেনে চাপার আগে অবশ্যই আমাদের ট্রেনের নিয়ম কানুন গুলি জেনে রাখতে হয়। সেই নিয়মগুলি কি তা জেনে নিন..
- প্রথমে আপনাদের বলে রাখি টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
- আপনার ট্রেনের টিকিট টি নিজের কাছে যত্ন সহকারে রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত স্টেশন থেকে বেরিয়ে না আসছেন।
- আপনার মালপত্র আপনার নিজের দায়িত্বেই রাখুন।
- অযথা ট্রেনের স্টপচেইন টানবেন না।
- আপনার পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য ব্যক্তির দেওয়া কোনো খাবার খাবেন না।
- ট্রেন থেকে অযথা উঠানামা করবেন না।
- ট্রেনের মধ্যে জ্বলনশীল বস্তু নিয়ে উঠবেন না।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩
শেষ কথা
উপরে দেয়া তথ্য গুলি থেকে আপনারা নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩ এবং নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া কত তা জানতে পেরেছেন। আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন টেনের সময়সূচী নিয়ে আলোচনা করে আসছি, যাতে করে আপনাদের ভ্রমণের সময় কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পেরেছে।
আমরা আপনাদের উপদেশ দেবো উৎসবের মরশুম ঈদের সময় অথবা পার্বণের সময়ে বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে ভ্রমণের জন্য আন্তঃনগর ট্রেন গুলিকে বেছে নেবেন। কারণ এই ট্রেনগুলি ভ্রমণের জন্য খুবই আরামদায়ক, এছাড়া অনলাইনে আপনারা আগে থেকে টিকিট বুকিং করে নিতে পারেন যাতে করে স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে অপেক্ষা করতে না হয়।